নিয়মিত পালনীয়সমূহঃ

১. নিয়মিত প্রশিক্ষণ অংশগ্রহণ

  • প্রতিষ্ঠানের আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালা এবং সেমিনারে অংশ নিতে হবে।
  • শিখে পাওয়া নতুন কৌশল এবং পদ্ধতিগুলো ক্লাসে প্রয়োগ করতে হবে।
  • সময় সুযোগে অন্যান্য স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষণেও অংশগ্রহণ করা যেতে পারে।

২. আধুনিক শিক্ষার কৌশল প্রয়োগ

  • শিক্ষার্থীদের শেখার আগ্রহ বাড়ানোর জন্য মাল্টিমিডিয়া, ইন্টারঅ্যাকটিভ কন্টেন্ট এবং গেমিফিকেশন পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে।
  • বিষয়বস্তু এমনভাবে উপস্থাপন করতে হবে যাতে শিক্ষার্থীরা বাস্তবজীবনে তা প্রয়োগ করতে পারে।

৩. ক্লাসরুমে শৃঙ্খলা বজায় রাখা

  • শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ধরে রাখতে নতুন এবং আকর্ষণীয় পাঠদানের কৌশল প্রয়োগ করতে হবে।
  • শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমবয়সীদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ এবং সহযোগিতার মনোভাব সৃষ্টি করতে হবে।
  • প্রতিটি ক্লাসের শেষে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে শেখার প্রভাব মূল্যায়ন করতে হবে।

৪. সঠিক মূল্যায়ন

  • সার্ভার ও নির্ধারিত মূল্যায়ন টুলস ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের অর্জিত দক্ষতা যাচাই করতে হবে।
  • তাদের অগ্রগতির রিপোর্ট তৈরি করে গার্ডিয়ানদের সাথে শেয়ার করতে হবে।
  • পরীক্ষার পাশাপাশি চ্যালেঞ্জ, প্রকল্প এবং পারফরম্যান্সভিত্তিক মূল্যায়ন পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।

৫. শিক্ষার্থীদের প্রতি বন্ধুসুলভ আচরণ

  • শিক্ষার্থীদের প্রতি ধৈর্যশীল এবং সহমর্মী হতে হবে।
  • শিক্ষার্থীদের সমস্যা বোঝার চেষ্টা করতে হবে এবং যথাযথ নির্দেশনা দিতে হবে।
  • ব্যক্তিগত এবং একাডেমিক দিক থেকে শিক্ষার্থীদের উন্নতিতে উৎসাহ দিতে হবে।

৬. শিক্ষা প্রযুক্তি ব্যবহার

  • মাল্টিমিডিয়া, ইন্টারেকটিভ এবং অনলাইন টুলস ব্যবহারে দক্ষ হতে হবে।
  • শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের সঠিক ও কার্যকর দিকনির্দেশনা দিতে হবে।
  • যেসব অ্যাপস বা টুলস শেখানো হয় সেগুলো নিজেরা আগে ভালোভাবে শিখতে হবে।

৭. পাঠ পরিকল্পনা

  • প্রতিটি ক্লাসের জন্য নির্দিষ্ট পাঠ পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে।
  • পরিকল্পিত উপায়ে ক্লাস পরিচালনা করে শিক্ষার্থীদের শেখার প্রক্রিয়াকে সহজ ও উপভোগ্য করতে হবে।
  • শেখানোর শেষে শিক্ষার্থীদের মতামত নিয়ে পরবর্তী পরিকল্পনায় উন্নতি করতে হবে।

৮. প্রকল্পভিত্তিক শিক্ষা

  • শিক্ষার্থীদের বাস্তব জীবনের সমস্যার সমাধানের জন্য প্রকল্প নির্ধারণ করতে হবে।
  • প্রয়োজনে তাদের সহায়তা করতে হবে এবং তাদের সৃজনশীলতাকে স্বীকৃতি দিতে হবে।
  • প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের একসাথে কাজ করার এবং দলবদ্ধ চিন্তাভাবনার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

৯. নিজের দক্ষতা নিয়মিত উন্নত করতে হবে।

  • নিজেকে আপডেট রাখতে নতুন বই, আর্টিকেল বা গবেষণা পড়তে হবে।
  • প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের জন্য আরও ভালো সমাধান বা উদাহরণ খুঁজে বের করতে হবে।

১০. অন্যান্য

  • প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের জন্য ওয়ান টু ওয়ান পরামর্শের ব্যবস্থা করতে হবে।
  • প্রতিটি মডিউল শেষে শিক্ষার্থীদের শেখার আগ্রহ এবং ফলাফল নিয়ে আলাদা সেশন রাখা।
  • শিক্ষকরা নিজেরা সহকর্মীদের সাথে অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য মাসিক মিটিং আয়োজন।
  • আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা গ্রহন।

নিয়মাবলী অনুসরণ করলে শিক্ষকরা তাদের দক্ষতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করতে পারবেন এবং শিক্ষার্থীদের জন্য আরও কার্যকর সমাধান প্রদান করতে সক্ষম হবেন।

</full-width>